ইন্টারভিউ সিরিজের আগের লিখাগুলা এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে ।
প্রশ্ন ঃ প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর ব্যাপারে প্রথম কিভাবে জানছিলা মনে আছে ? উত্তরঃ হুম। ভার্সিটিতে ভর্তি হবার আগে হালকা প্রোগ্রামিং শিখে ছিলাম। আমি একটু দেরিতে ভর্তি হবার কারণে আমার অন্যান্য ফ্রেন্ডরা একটু এগিয়ে ছিল। ওইসময় সাস্টের এক ফ্রেন্ড ইভান, (স্কুল ফ্রেন্ড মূলত) ওর কাছ থেকে প্রথম "uva peter smoke" প্রবলেমটার লিঙ্ক পাই।
সেইদিন থেকেই মূলত প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট নাম এ কিছু একটা আছে। এই জিনিসটা জানা হয়েছিল।
প্রশ্নঃ প্রথম অনসাইট কনটেস্ট কথা মনে আছে ?
উত্তরঃ হ্যাঁ ২০১২ সালে। আমার প্রথম অনসাইট ছিল ICPC-2012। ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটিতে। কোনকিছুই তেমন করি নাই, শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে ছিলাম আর একটা চাইনিজ টিমের সল্ভ করার আনন্দ দেখেছি। প্রশ্নঃ কি টাইপের প্রবলেম সল্ভ করতে বেশি ভাল লাগে ? উত্তরঃ নাম্বার থিউরি আর ডিপি। প্রশ্নঃ কোন প্রবলেম সল্ভ এর সময় "Thinking Process" কি থাকে প্রবলেম পড়ার পর ? উত্তরঃ প্রবলেম পড়ার পরেই প্রথমে আগে ছোট ছোট কেস খাতায় লিখে একটা বেসিক আইডিয়া দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। যদি দেখি যে ঠিকঠাক আছে তখন কোড করা শুরু করি। আর যেসব প্রবলেম মনে হয় প্যার্টান আছে, সেইগুলার জন্য আগেই একটা ব্রুটফোর্স কোড লিখে র্স্কিনে কিছু কেস রান করিয়ে খাতা কলম নিয়ে বসি প্যার্টান বের করার চেষ্টায়। প্রশ্নঃ UAP এর এসিএম ট্রনিং কিভাবে হয় ? উত্তরঃ Uap সাম্প্রতি সময়ে কন্টেস্ট এর রেজাল্ট ভাল করার জন্য অনেক আগ্রহী। সেইজন্য বর্তমানে সিনিয়র ও জুনিয়র দুই লেভেলের জন্য আলাদা আলাদা ট্রেইনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিনিয়রদের এখন শিপলু স্যার আর জুনিয়রদের সুপ্ত ভাই ট্রেইনিং করাচ্ছে। আর যেহেতু ভার্সিটি এখন পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসে আছে, তাই সুযোগ সুবিধা আগে থেকেও এখন অনেক বেশি। প্রশ্নঃ আইওআই যারা না করে ভার্সিটি থেকে কনটেস্ট করে তারা দেখা যায় আইওআই যারা করেছেন তাদের থেকে পিছাইয়া থাকে , অনেক সময়ই পিছাইয়াই থাকে । যারা ভার্সিটি তে মাত্র কনটেস্ট নিয়ে জানল তাদের কি করা উচিত এই দুরুত্ব কমানোর জন্য ? উত্তরঃ যারা ioi করে তাদের জন্য অনেক স্পেশাল ট্রেইনিং হয় যার ফলে তারা স্বাভাবিকভাবে ভার্সিটিতে কন্টেস্ট করে তাদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকে। সেই হিসেবে দেখা যায় ভার্সিটির সেই স্টুডেন্টকে তাদের লেভেল এ আসতে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সময়ে হয়ত তাদের ভার্সিটি লাইফও শেষ হয়ে যায়। যেমনঃ আমি :p আর আমি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে একটা জিনিস দেখেছি, বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ভর্তি হয় এখানে একটা হতাশা নিয়ে। তাদের সব-সময় এমন একটা মেন্টালিটি সেট করা থাকে যে আমি পাবলিক ভাল কোথায়ও চান্স পাই নাই তাই আমাকে নিয়ে এইসব কন্টেস্ট টাইপ জিনিস কোনদিন হবে না। তাই যারা ভার্সিটি ভর্তি হয়ে কন্টেস্ট সম্মন্ধে জানল বা কন্টেস্ট করার আগ্রহ আছে, তাদের প্রথমেই সকল হতাশা ঝেড়ে ফেলা উচিত। আর এমন একটা মনোভাব থাকা উচিত আমি পারবই। আর নিয়মিত প্র্যাকটিস। যেটা একটা ফরজ জিনিস কন্টেস্ট এর জন্য। তবে আমার ভার্সিটির অভিজ্ঞতা বলে নতুন যারাই আসে ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টারে তারা কিভাবে কিভাবে যেন html css দিয়ে সাইট ডেভেলাপ করা যায় আর তা দিয়ে টাকা আর্জন করা যায় এমন একটা ধারনা পায়। আর পথে হাঁটতে গিয়ে বেশির ভাগ স্টুডেন্ট না শিখে প্রোগ্রামিং না হয় ভাল ডেভেলপার। প্রশ্নঃ tanvir002700.wordpress.com শুরু করার কথা কিভাবে ভাবলা , বাংলায় ব্লগ প্রোগ্রামিং নিয়ে খুব একটা নেই এখন যারা কনটেস্ট করে তাদের ব্লগিং কিভাবে তাদের হ্যাল্প করতে পারে , নতুন যারা ব্লগ লিখছে তাদের জন্য কোন সাজেশন ? উত্তর : tanvir002700.wordpress.com এইটা প্রথমে তেমন মহৎ চিন্তা নিয়ে শুরু করি নাই। প্রথম যখন python শেখা শুরু করি, দেখলাম যে আমরা কন্টেস্ট এ যেসব algorithm ব্যবহার করি সেইগুলা পাইথনে তেমন নেই, বা সহজে পাওয়া যায়। তারপর আমি কিছু algorithm পাইথনে লিখে ফেসবুকে একটা পোষ্ট আঁকারে দেই। ফেসবুক পোস্টে কোড দেয়া অনেক ঝামেলা। তারপর তখন মনে হল ব্লগে লিখি এইগুলা পরে আমি ভুলে গেলে নিজেও দেখতে পারব। তারপর ব্লগ খুলি। তারপর যখন শিপলু স্যারের কাছ থেকে suffix array শিখলাম তখন চিন্তা করলাম এই জিনিসত বাংলায় কোথায়ও ভাল রিসোর্স পাই নাই। এইটা সবার সাথে শেয়ার করি, নিজেও ভুলে গেলে আবার এইখান থেকে দেখে নেয়া যাবে আর অন্যরাও একটু হেল্প পাবে। এইভাবেই ব্লগ লেখা শুরু। যারা নতুন নতুন ব্লগ লেখছ, তাদের জন্য একটা উপদেশ প্রথম প্রথম হয়ত অনেকের কাছ থেকে অনেক কথা শুনবা। অনেকে হয়ত বলবে ফেমাস হওয়ার জন্য করছ। (আমি যে প্রবলেম ফেস করেছিলাম আরকি ) এইসব কান না দিয়ে নিজের মত করে লিখে যাও, কেউ কমেন্টে কোন সাজেশন দিয়ে সেইগুলা গ্রহণ করে লেখা উন্নত কর। জ্ঞান সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ায় ক্ষতির কিছু নেই। প্রশ্নঃ Quora , Codefight এইসবগুলাতেও তুমি অনেক একটিভ । বাংলাদেশ এর এখনও এইসব সাইট এতটা জনপ্রিয়তা পায় নাই , এইগুলো তোমাকে কোন হ্যাল্প করতেছে ? উত্তরঃ Quora নিয়ে তেমন বিশেষ কিছু বলার নেই। খুব সম্প্রতি Quora তে একটিভ আমি। বাসায় বেকার বসে আছিতো, তাই অলস সময় একটু ইফেকটিভ কিছু করে কাটানোর একটা ছোট চেষ্টা মাত্র।
আর Codefight, হ্যাঁ এই জিনিসটা আমার কোডের ডিবাগিং এবিলিটি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে মাঝে দিয়ে এই জিনিসের চরম নেশায় পড়ে গিয়েছিলাম। কোডফাইটের কয়েন দিয়ে টি-শার্ট কেনা যায় সেই টি-শার্টের লোভে সারাদিন ফাইট দিতাম। তবে Codefight অনেক ভাল একটা জিনিস, যারা সারাদিন ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানে এটাক দাও তারা কিছুদিন Codefight এ ফাইট দিয়ে দেখতে পার, কোডিং ভাল লাগলে এই জিনিসের নেশায় পরে যাবা। আর এই জিনিস রিটার্নে তোমাকে ডিবাগিং এর কিছু এবিলিটি দিবে যেটা হয়ত অন্য গেম দেয় না। সব মিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভাল একটা সাইট। প্রশ্নঃ অনেকেই ভার্সিটি লাইফে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর চেয়ে freelancing এ জোর দেয় অনেক , এইটা আমি খারাপ বলছি না , এতে অনেক টাকাও পাওয়া যায় কিন্ত্ শিখার টাইমটা অনেক নস্ট হয় , এই ব্যাপারে তুমি কি বলবা ? উত্তরঃ freelancing!!! এই ব্যাপারে আমার মতামত খুবই নেগিটিভ। আমার ভার্সিটে দেখা অভিজ্ঞতা যদি বলি, বেশিরভাগ স্টুডেন্ট প্রথমেই সিএসইতে ভর্তি হয়ে যে জিনিসটা যানে সেইটা হল freelancing নামে একটা জিনিস আছে যেটা দিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেই জিনিসের সুবাধে বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টার থেকেই হালকা html css শিখে টাকা কামায়ের ধান্দায় পরে যায়। এইভাবে করে দেখা যায় সে প্রোগ্রামিং এর বেসিক জিনিস ও এ্যালগরিদম ডাটাস্ট্রাকচার এইগুলা কিছুই শেখে না। সুতরাং আমার তবে freelancing করতে হলে ভার্সিটির প্রথম ৩ বছর নয়। ভার্সিটির প্রথম ৩ বছর শুধু cse রিলেটেড জিনিস পত্র শেখায় সময় দেয়া উচিত। প্রশ্নঃ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এ ইন্সপারেশন এর কেউ আছে , কাউকে ফলো করতে ? উত্তরঃ প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর ইন্সপারেশন হল শিপলু স্যার। আমার ৪ বছরের পুরাটা সময় ধরতে গেলে স্যারের হাত ধরে চলতে শেখা। প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর বেশিরভাগ জিনিস শিখেছি স্যারের কাছ থেকে। আর সবসময় স্যারকে ফলো করার চেষ্টা করতাম। স্যারের একটা জিনিস ভাল লাগে সেইটা হল কত স্টুপিডের মত কত উল্টাপাল্টা কাজ করেছি, কোনদিন বকা দেয় নাই:P :P প্রশ্নঃ নতুন যারা কনটেস্ট শুরু করতেছে তাদের কোন সাজেশন ? কিভাবে ভাল করবে ? উত্তরঃ যারা নতুন কন্টেস্ট করতেছে, তাদের জন্য সাজেশন হল লেগে থাক। প্র্যাকটিস বন্ধ করিও না, সফলতা আসবেই। প্রশ্নঃ অনেক সময় দেখা যায় কয়েকদিন কারো কনটেস্ট ভাল না হইলে অনেক এ হতাশ হয়ে কনটেস্ট ছেড়ে দেয় বা অন্যভাবেও বলা হয় সব কনটেস্টেন এর লাইফে হতাশার একটা পিরিয়ড থাকে , এই সময় কিভাবে নিজেকে মোটিভেট করা উচিত ? উত্তরঃ কন্টেস্ট ভাল না হওয়া/ আমি যেটাকে বাঁশ বলি :P সেইটা কি জিনিস আমার cf আইডি দেখলে বুঝা যায়। তারপর এত এত বাঁশ খাওয়ার পরেও কন্টেস্ট করা বন্ধ করি নাই। হতাশ হওয়া যাবে না। হতাশ হলে উল্টো বিপদ। হতাশ হলে পার্ফমেন্স দিন দিন আরও খারাপ হতে থাকে। যদি কোন কন্টেস্ট খারাপ হয় সেইটায় কি ভুল করেছ, বা যেগুলা সল্ভ হয় নাই সেইগুলা সল্ভ করার চেষ্টা কর। শিপলু স্যার সব সময় একটা কথা বলতেন আমি যখন cf শুরু করি, র্যাঙ্ক লিস্ট দেখ না, কন্টেস্ট শেষে তোমার লেভেলের যেসব প্রবলেম ছিল সেইগুলা সল্ভ করতে পেরেছ কিনা সেইটা দেখ। আর আমার মতে একটা অনেক গুলা অনলাইন কন্টেস্ট খারাপ হওয়া মানে, অফলাইন প্র্যাকটিসের অভাব। সুতরাং হতাশ হয়ে কন্টেস্ট অফ করে দিয়ে সেলেন্ডার করার চেয়ে, ভুল খুঁজে বের করে কাম ব্যাক করাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রশ্নঃ প্রোগ্রামিং বাদে কোন হবি ? ফ্রি টাইমে কি কর ? উত্তরঃ প্রোগ্রামিং বাদে আর যদি শখের কিছু থেকে থাকে সেইটা হল সাইক্লিং করা :P আর অবসর সময় দেখা যায় কখনও কোন ব্লগ/বই পড়ি অথবা টিভি সিরিজ দেখি।
প্রশ্ন ঃ প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর ব্যাপারে প্রথম কিভাবে জানছিলা মনে আছে ? উত্তরঃ হুম। ভার্সিটিতে ভর্তি হবার আগে হালকা প্রোগ্রামিং শিখে ছিলাম। আমি একটু দেরিতে ভর্তি হবার কারণে আমার অন্যান্য ফ্রেন্ডরা একটু এগিয়ে ছিল। ওইসময় সাস্টের এক ফ্রেন্ড ইভান, (স্কুল ফ্রেন্ড মূলত) ওর কাছ থেকে প্রথম "uva peter smoke" প্রবলেমটার লিঙ্ক পাই।
উত্তরঃ হ্যাঁ ২০১২ সালে। আমার প্রথম অনসাইট ছিল ICPC-2012। ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটিতে। কোনকিছুই তেমন করি নাই, শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে ছিলাম আর একটা চাইনিজ টিমের সল্ভ করার আনন্দ দেখেছি। প্রশ্নঃ কি টাইপের প্রবলেম সল্ভ করতে বেশি ভাল লাগে ? উত্তরঃ নাম্বার থিউরি আর ডিপি। প্রশ্নঃ কোন প্রবলেম সল্ভ এর সময় "Thinking Process" কি থাকে প্রবলেম পড়ার পর ? উত্তরঃ প্রবলেম পড়ার পরেই প্রথমে আগে ছোট ছোট কেস খাতায় লিখে একটা বেসিক আইডিয়া দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। যদি দেখি যে ঠিকঠাক আছে তখন কোড করা শুরু করি। আর যেসব প্রবলেম মনে হয় প্যার্টান আছে, সেইগুলার জন্য আগেই একটা ব্রুটফোর্স কোড লিখে র্স্কিনে কিছু কেস রান করিয়ে খাতা কলম নিয়ে বসি প্যার্টান বের করার চেষ্টায়। প্রশ্নঃ UAP এর এসিএম ট্রনিং কিভাবে হয় ? উত্তরঃ Uap সাম্প্রতি সময়ে কন্টেস্ট এর রেজাল্ট ভাল করার জন্য অনেক আগ্রহী। সেইজন্য বর্তমানে সিনিয়র ও জুনিয়র দুই লেভেলের জন্য আলাদা আলাদা ট্রেইনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিনিয়রদের এখন শিপলু স্যার আর জুনিয়রদের সুপ্ত ভাই ট্রেইনিং করাচ্ছে। আর যেহেতু ভার্সিটি এখন পার্মানেন্ট ক্যাম্পাসে আছে, তাই সুযোগ সুবিধা আগে থেকেও এখন অনেক বেশি। প্রশ্নঃ আইওআই যারা না করে ভার্সিটি থেকে কনটেস্ট করে তারা দেখা যায় আইওআই যারা করেছেন তাদের থেকে পিছাইয়া থাকে , অনেক সময়ই পিছাইয়াই থাকে । যারা ভার্সিটি তে মাত্র কনটেস্ট নিয়ে জানল তাদের কি করা উচিত এই দুরুত্ব কমানোর জন্য ? উত্তরঃ যারা ioi করে তাদের জন্য অনেক স্পেশাল ট্রেইনিং হয় যার ফলে তারা স্বাভাবিকভাবে ভার্সিটিতে কন্টেস্ট করে তাদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকে। সেই হিসেবে দেখা যায় ভার্সিটির সেই স্টুডেন্টকে তাদের লেভেল এ আসতে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সময়ে হয়ত তাদের ভার্সিটি লাইফও শেষ হয়ে যায়। যেমনঃ আমি :p আর আমি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে একটা জিনিস দেখেছি, বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ভর্তি হয় এখানে একটা হতাশা নিয়ে। তাদের সব-সময় এমন একটা মেন্টালিটি সেট করা থাকে যে আমি পাবলিক ভাল কোথায়ও চান্স পাই নাই তাই আমাকে নিয়ে এইসব কন্টেস্ট টাইপ জিনিস কোনদিন হবে না। তাই যারা ভার্সিটি ভর্তি হয়ে কন্টেস্ট সম্মন্ধে জানল বা কন্টেস্ট করার আগ্রহ আছে, তাদের প্রথমেই সকল হতাশা ঝেড়ে ফেলা উচিত। আর এমন একটা মনোভাব থাকা উচিত আমি পারবই। আর নিয়মিত প্র্যাকটিস। যেটা একটা ফরজ জিনিস কন্টেস্ট এর জন্য। তবে আমার ভার্সিটির অভিজ্ঞতা বলে নতুন যারাই আসে ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টারে তারা কিভাবে কিভাবে যেন html css দিয়ে সাইট ডেভেলাপ করা যায় আর তা দিয়ে টাকা আর্জন করা যায় এমন একটা ধারনা পায়। আর পথে হাঁটতে গিয়ে বেশির ভাগ স্টুডেন্ট না শিখে প্রোগ্রামিং না হয় ভাল ডেভেলপার। প্রশ্নঃ tanvir002700.wordpress.com শুরু করার কথা কিভাবে ভাবলা , বাংলায় ব্লগ প্রোগ্রামিং নিয়ে খুব একটা নেই এখন যারা কনটেস্ট করে তাদের ব্লগিং কিভাবে তাদের হ্যাল্প করতে পারে , নতুন যারা ব্লগ লিখছে তাদের জন্য কোন সাজেশন ? উত্তর : tanvir002700.wordpress.com এইটা প্রথমে তেমন মহৎ চিন্তা নিয়ে শুরু করি নাই। প্রথম যখন python শেখা শুরু করি, দেখলাম যে আমরা কন্টেস্ট এ যেসব algorithm ব্যবহার করি সেইগুলা পাইথনে তেমন নেই, বা সহজে পাওয়া যায়। তারপর আমি কিছু algorithm পাইথনে লিখে ফেসবুকে একটা পোষ্ট আঁকারে দেই। ফেসবুক পোস্টে কোড দেয়া অনেক ঝামেলা। তারপর তখন মনে হল ব্লগে লিখি এইগুলা পরে আমি ভুলে গেলে নিজেও দেখতে পারব। তারপর ব্লগ খুলি। তারপর যখন শিপলু স্যারের কাছ থেকে suffix array শিখলাম তখন চিন্তা করলাম এই জিনিসত বাংলায় কোথায়ও ভাল রিসোর্স পাই নাই। এইটা সবার সাথে শেয়ার করি, নিজেও ভুলে গেলে আবার এইখান থেকে দেখে নেয়া যাবে আর অন্যরাও একটু হেল্প পাবে। এইভাবেই ব্লগ লেখা শুরু। যারা নতুন নতুন ব্লগ লেখছ, তাদের জন্য একটা উপদেশ প্রথম প্রথম হয়ত অনেকের কাছ থেকে অনেক কথা শুনবা। অনেকে হয়ত বলবে ফেমাস হওয়ার জন্য করছ। (আমি যে প্রবলেম ফেস করেছিলাম আরকি ) এইসব কান না দিয়ে নিজের মত করে লিখে যাও, কেউ কমেন্টে কোন সাজেশন দিয়ে সেইগুলা গ্রহণ করে লেখা উন্নত কর। জ্ঞান সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ায় ক্ষতির কিছু নেই। প্রশ্নঃ Quora , Codefight এইসবগুলাতেও তুমি অনেক একটিভ । বাংলাদেশ এর এখনও এইসব সাইট এতটা জনপ্রিয়তা পায় নাই , এইগুলো তোমাকে কোন হ্যাল্প করতেছে ? উত্তরঃ Quora নিয়ে তেমন বিশেষ কিছু বলার নেই। খুব সম্প্রতি Quora তে একটিভ আমি। বাসায় বেকার বসে আছিতো, তাই অলস সময় একটু ইফেকটিভ কিছু করে কাটানোর একটা ছোট চেষ্টা মাত্র।
আর Codefight, হ্যাঁ এই জিনিসটা আমার কোডের ডিবাগিং এবিলিটি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে মাঝে দিয়ে এই জিনিসের চরম নেশায় পড়ে গিয়েছিলাম। কোডফাইটের কয়েন দিয়ে টি-শার্ট কেনা যায় সেই টি-শার্টের লোভে সারাদিন ফাইট দিতাম। তবে Codefight অনেক ভাল একটা জিনিস, যারা সারাদিন ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানে এটাক দাও তারা কিছুদিন Codefight এ ফাইট দিয়ে দেখতে পার, কোডিং ভাল লাগলে এই জিনিসের নেশায় পরে যাবা। আর এই জিনিস রিটার্নে তোমাকে ডিবাগিং এর কিছু এবিলিটি দিবে যেটা হয়ত অন্য গেম দেয় না। সব মিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভাল একটা সাইট। প্রশ্নঃ অনেকেই ভার্সিটি লাইফে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এর চেয়ে freelancing এ জোর দেয় অনেক , এইটা আমি খারাপ বলছি না , এতে অনেক টাকাও পাওয়া যায় কিন্ত্ শিখার টাইমটা অনেক নস্ট হয় , এই ব্যাপারে তুমি কি বলবা ? উত্তরঃ freelancing!!! এই ব্যাপারে আমার মতামত খুবই নেগিটিভ। আমার ভার্সিটে দেখা অভিজ্ঞতা যদি বলি, বেশিরভাগ স্টুডেন্ট প্রথমেই সিএসইতে ভর্তি হয়ে যে জিনিসটা যানে সেইটা হল freelancing নামে একটা জিনিস আছে যেটা দিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়। সেই জিনিসের সুবাধে বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টার থেকেই হালকা html css শিখে টাকা কামায়ের ধান্দায় পরে যায়। এইভাবে করে দেখা যায় সে প্রোগ্রামিং এর বেসিক জিনিস ও এ্যালগরিদম ডাটাস্ট্রাকচার এইগুলা কিছুই শেখে না। সুতরাং আমার তবে freelancing করতে হলে ভার্সিটির প্রথম ৩ বছর নয়। ভার্সিটির প্রথম ৩ বছর শুধু cse রিলেটেড জিনিস পত্র শেখায় সময় দেয়া উচিত। প্রশ্নঃ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এ ইন্সপারেশন এর কেউ আছে , কাউকে ফলো করতে ? উত্তরঃ প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর ইন্সপারেশন হল শিপলু স্যার। আমার ৪ বছরের পুরাটা সময় ধরতে গেলে স্যারের হাত ধরে চলতে শেখা। প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট এর বেশিরভাগ জিনিস শিখেছি স্যারের কাছ থেকে। আর সবসময় স্যারকে ফলো করার চেষ্টা করতাম। স্যারের একটা জিনিস ভাল লাগে সেইটা হল কত স্টুপিডের মত কত উল্টাপাল্টা কাজ করেছি, কোনদিন বকা দেয় নাই:P :P প্রশ্নঃ নতুন যারা কনটেস্ট শুরু করতেছে তাদের কোন সাজেশন ? কিভাবে ভাল করবে ? উত্তরঃ যারা নতুন কন্টেস্ট করতেছে, তাদের জন্য সাজেশন হল লেগে থাক। প্র্যাকটিস বন্ধ করিও না, সফলতা আসবেই। প্রশ্নঃ অনেক সময় দেখা যায় কয়েকদিন কারো কনটেস্ট ভাল না হইলে অনেক এ হতাশ হয়ে কনটেস্ট ছেড়ে দেয় বা অন্যভাবেও বলা হয় সব কনটেস্টেন এর লাইফে হতাশার একটা পিরিয়ড থাকে , এই সময় কিভাবে নিজেকে মোটিভেট করা উচিত ? উত্তরঃ কন্টেস্ট ভাল না হওয়া/ আমি যেটাকে বাঁশ বলি :P সেইটা কি জিনিস আমার cf আইডি দেখলে বুঝা যায়। তারপর এত এত বাঁশ খাওয়ার পরেও কন্টেস্ট করা বন্ধ করি নাই। হতাশ হওয়া যাবে না। হতাশ হলে উল্টো বিপদ। হতাশ হলে পার্ফমেন্স দিন দিন আরও খারাপ হতে থাকে। যদি কোন কন্টেস্ট খারাপ হয় সেইটায় কি ভুল করেছ, বা যেগুলা সল্ভ হয় নাই সেইগুলা সল্ভ করার চেষ্টা কর। শিপলু স্যার সব সময় একটা কথা বলতেন আমি যখন cf শুরু করি, র্যাঙ্ক লিস্ট দেখ না, কন্টেস্ট শেষে তোমার লেভেলের যেসব প্রবলেম ছিল সেইগুলা সল্ভ করতে পেরেছ কিনা সেইটা দেখ। আর আমার মতে একটা অনেক গুলা অনলাইন কন্টেস্ট খারাপ হওয়া মানে, অফলাইন প্র্যাকটিসের অভাব। সুতরাং হতাশ হয়ে কন্টেস্ট অফ করে দিয়ে সেলেন্ডার করার চেয়ে, ভুল খুঁজে বের করে কাম ব্যাক করাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রশ্নঃ প্রোগ্রামিং বাদে কোন হবি ? ফ্রি টাইমে কি কর ? উত্তরঃ প্রোগ্রামিং বাদে আর যদি শখের কিছু থেকে থাকে সেইটা হল সাইক্লিং করা :P আর অবসর সময় দেখা যায় কখনও কোন ব্লগ/বই পড়ি অথবা টিভি সিরিজ দেখি।
Tanveer has another good side. He pets cat very well. :)
ReplyDeleteঅসাধারণ :)
ReplyDeleteতানভীর ভাই আর আমার হাতেখড়ি দুজনেরই একই মানুষের কাছে ;)